সেনানিবাসের মতো সুরক্ষিত ও নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় সন্ধ্যা ৭টায় সেনা সদস্য ব্যতীত বাইরের সন্ত্রাসীরা ঢুকে ২০ বছর বয়সী একজন মেয়েকে অপহরণ করে তাকে ধর্ষণপূর্বক হত্যা করে তার লাশ টেনেহিঁচড়ে ফেলে যাওয়ার সুযোগ ও সাহস পাবে বলে মনে করি না। যদি বাইরের কোনো সন্ত্রাসী এই অপরাধ করে থাকে তাহলে তারা নিশ্চিতভাবেই সেনানিবাসের কোনো সদস্যের পরিচিত ও মদদপুষ্ট।”
আজ যদি সামরিক বাহিনীর কোনো অফিসারের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হত, মৃত্যু হত, তাহলে বিচারের অবস্থা আমরা দেখতাম। তনু সামরিক অফিসারের মেয়ে নন। সেজন্য তার যে মৃত্যু, তাকে ধর্ষণ করার যে ঘটনা, তাকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার একটা প্রচেষ্টা হচ্ছে। আমি ও আমরা দেশের মানুষ এই হত্যার দ্রুত বিচার চাই।
সরকারের যে নির্যাতন, নারীর ওপর যে অত্যাচার, এগুলোর ওপরে সবাই মিলে একটা রাউন্ড টেবিল করি। এই রাউন্ড টেবিলের মাধ্যমে আমরা প্রকৃত অবস্থা বিচার বিশ্লেষণ করে এই সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করি। কীভাবে আমরা মাতৃজাতিকে রক্ষা করতে পারি। ভবিষ্যতে যাতে তনুর মতো কাউকে ধর্ষিত হতে না হয়।
