কোথাও যখন ঠাই পায় না তখন মানুষ ছুটে আসে পুলিশের কাছে। কিন্ত এই রক্ষকেরা যখন ভক্ষক হয় তখন সমাজের অসহায় মানুষ গুলো কার কাছে যাবে ?
এটা বিবেকের কাছে প্রশ্ন? শিশুটিকে নির্যাতন করে পুলিশ চরমভাবে মানবাধিকার লজ্ঞন করেছে।
ৈসকত মজুমদার ছবিটি তুলেছেন। ফেসবুকে প্রথম প্রকাশিত।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই এই ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের সুরক্ষা খুবই জরুরি। প্রতি বছর শত শত শিশু নানাভাবে নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। শিশুরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। নিম্ন, মধ্য বা উচ্চবিত্ত কোনো শ্রেণির শিশুই নিজের ঘর, বাহির বা বিদ্যালয়ে নিরাপদ নয়। এসব নির্যাতন বন্ধে দেশে ইতিবাচক আইন ও নীতিমালাও আছে। কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সরকারের সচেতনতার অভাবে এখনো দেশে শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক শিশুরা নানা রকম নির্যাতন শিকার হচ্ছে।
বিশেষ করে শিশুদের প্রতি শারীরিক ও মানসিক সহিংসতা, শিশুবিবাহ, শিশুমাতৃত্ব ও যৌন হয়রানির ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। শিশুদের প্রতি নির্যাতন, হয়রানির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। গবেষণায় দেখা গেছে, নির্যাতিত শিশুরা পরবর্তী জীবনে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগে। কেউ কেউ নিপীড়কও হয়ে ওঠে। শিশু নির্যাতনের ফলে শুধু ওই শিশু একা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রসহ সবাই। যে শিশু তার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হতে পারত, নির্যাতন, বাল্যবিবাহহের ফলে তা ব্যাহত হচ্ছে। কাজেই রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন করতে শিশু নির্যাতন বন্ধ করা একান্ত জরুরি।
