২৩ এপ্রিল ২০১৬, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দিনের আলোয় প্রকাশ্যে ঘাতকেরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার ধরন, সময় এবং বার্তা পরিষ্কার করে দেয়—এটি ছিল একটি সংগঠিত, পূর্বপরিকল্পিত জঙ্গি হামলা। এ হত্যাকাণ্ড কেবল একটি জীবন নিঃশেষ করে দেয়নি; এটি ছিল মুক্তচিন্তার উপর এক গুরুতর আঘাত।
এই হত্যার পর আবারো প্রশ্ন উঠে: বাংলাদেশ কি নিরাপদ? সরকারের দায়িত্ব কি কেবল শোক প্রকাশ করা, নাকি এই হত্যার শেকড় উপড়ে ফেলা?
বাংলাদেশে একের পর এক মুক্তচিন্তক, ব্লগার, লেখক এবং শিক্ষককে টার্গেট করা হচ্ছে, এবং প্রতিটি হত্যার পর আমরা শুনি একই পুরনো কথা—“তদন্ত চলছে, অপরাধীরা শাস্তি পাবে। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব কী ছিল? একের পর এক হত্যার পরেও জঙ্গি সংগঠনগুলো কেন ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে উঠছে? সরকারের উচিত এই হত্যার মতো ঘটনাগুলোকে সামান্য অপরাধ বলে বিবেচনা না করে জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা। মুক্তচিন্তা এবং শিক্ষাঙ্গনের উপর আঘাত মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অন্ধকারময় পথ তৈরি করা।
হাসিনাকে বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তা চায়, সুশাসন চায়, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায়। এই হত্যাকাণ্ডের দায় এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।ফ্যাসিট সরকারের উচিত এই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সরে দাঁড়ানো।
দেশের মানুষ শোক নয়, কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চায়। আর ব্যর্থ স্বৈরাচার সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
