সম্প্রতি, ভারতের একটি বিশেষ গোষ্ঠী ও বেশিরভাগ ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে অসত্য তথ্য ছড়িয়ে একধরনের প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে এমন মিথ্যা প্রপাগাণ্ডামুলক সংবাদ অতিরঞ্জিত করে এমনভাবে উপস্থাপন করছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। এই প্রপাগান্ডার মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশে বিভেদ সৃষ্টি এবং দেশের উন্নয়নশীল ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থান, বিশেষ করে বর্তমান ড. ইউনুস সরকারের অধীনে, অন্য যে কোম সময়ের তুলনায় অনেক ভালো এবং নিরাপদ। কিছু ভারতীয় মিডিয়া এবং রাজনৈতিক মহল চেষ্টা করছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে। তারা সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি অতিরঞ্জিত করে এবং একে অপর্যাপ্তভাবে উপস্থাপন করছে, যেন তারা নির্যাতিত, অবর্ণনীয় দুর্দশায় আছেন। তবে বাস্তবতা হলো, বর্তমান সরকার এবং জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সরকার সচেষ্ট।
ভারতের কিছু শক্তি ও মিডিয়া গোষ্ঠী বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন অযথা অভিযোগ এবং মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা। কিন্তু ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে হবে তাদের মনে রাখতে হবে: যদি বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হয়, তাহলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সও নিরাপদ থাকবে না।
এদিকে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছিল, বাংলাদেশের জনগণের অজান্তে ভারতের সঙ্গে একাধিক গোপন চুক্তি করেছে এই চুক্তিগুলো শুধু স্বচ্ছতার অভাবই নয়, বরং দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ, এবং সাধারণ জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ণ করার মতো গুরুতর বিষয়গুলোর দিকে ইঙ্গিত দেয়। স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের গোপন চুক্তি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই এই দেশে বিরোধী চুক্তিগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা হতে হবে স্বচ্ছ, উভয়পক্ষের স্বার্থে এবং জনমতের প্রতি সম্মান রেখে।
বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রয়েছে সত্য জানতে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করতে। তাই, সকল গোপন চুক্তি অবিলম্বে প্রকাশ করা হোক এবং জনগণের স্বার্থে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
বাংলাদেশের জনগণ সবসময়ই অসাম্প্রদায়িক, সহাবস্থান, এবং মানবাধিকারের পক্ষে। ভারতের কিছু গোষ্ঠী ও মিডিয়ার উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা প্রচার কখনোই এই ঐক্যকে ভাঙতে পারবে না। আমাদের নিজেদের ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধে বিশ্বাস রেখে তাদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ, এবং এখানে কোনো বিভ্রান্তি বা অপপ্রচার টিকতে পারে না তাদের মিথ্যা প্রপাগাণ্ডাকে প্রতিহত করা হবে।
