CategoriesDemocracyHuman RightsJusticePolitics

বিক্রম মিশ্রি ঢাকায় এক ঘণ্টা: কোথায় ছিলেন এবং কেন?

সম্প্রতি ঢাকা সেনানিবাসে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর মধ্যে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গোপন বৈঠকের কথা কেন কেউ জানে না, এ প্রশ্ন উঠছে— কেন এত গোপনীয়তা? বৈঠকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি, এর পেছনে কিছু গভীর রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি কি কোনো বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে সংকটাপন্ন করা হতে পারে?

গত তিন মাস ধরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে টানাপোড়ন ঘটেছে, তা ৫২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান আছে, কিন্তু ৫ই আগস্ট বাংলাদেশে রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর ভারতের সেই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঠুনকো কিছু ঘটনা নিয়ে শোরগোল ফেলে দেয় ভারতীয় মিডিয়া, এবং একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করানো হয়। এই পরিস্থিতিতে, গোপন বৈঠকটি কী কোনও ভারতীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপের অংশ ছিল, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে বর্তমান ড. ইউনুস সরকারের নেতৃত্বের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের যে টানাপোড়ন চলছে তার প্রভাব নিয়ে কি আলোচনা চলছে? গোপন বৈঠকটি যদি ভারতীয় কূটনীতির কোনো নতুন পদক্ষেপের অংশ হয়, তাহলে এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা কিংবা কোনো ধরনের ভারতীয় প্রভাব ঢোকানোর পরিকল্পনা যদি এই বৈঠকের পেছনে থাকে, তাহলে তা দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

এই ধরনের গোপন বৈঠক নিয়ে সরকারের সতর্কতা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য মনোযোগী হওয়া খুবই জরুরি। বিদেশি ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হলে দেশের অভ্যন্তরীণ ঐক্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।

সোর্স: https://dailyinqilab.com/national/news/711978

https://mzamin.com/news.php?news=139983#gsc.tab=0