‘ভারতের সঙ্গে সরকার দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করেছে। এ চুক্তি বাতিল ও চুক্তির প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের হাতে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে।’
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র শহীদ আবরার ফাহাদের নির্মম মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি ক্ষমতাসীনদের খুনের সংস্কৃতির ধারাবাহিক চর্চার একটি অংশ মাত্র। আজ তাই বাংলাদেশের মানুষের পক্ষের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে। এই অন্ধকারের সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে মানুষের অধিকার মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিতে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই। আজ দেশের জনগণই যেন নিজ দেশে পরাধীন। এই পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে আমাদের জেগে উঠতে হবে।
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র শহীদ আবরার ফাহাদের বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর যখন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী গগণবিদারী শ্লোগানে উত্তাল তখন সরকার ছাত্রদেরকে নিরস্ত করার জন্য নানা ছলছাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রীরা নানা রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। যে কারণে আবরারকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সে দিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে সরকার। মূলত দেশের মাটি, পানি, আকাশের স্বার্থে স্ট্যাটাস দেয়ায় বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবরারের স্ট্যাটাসের পিছনের কারণই ছিল দেশবিরোধী চুক্তির বিরোধিতা ও সত্য ইতিহাস তুলে ধরা। আর দেশবিরোধী চুক্তিটি করেছেন বর্তমান মিডনাইট ভোটের সরকার জনগণের সাথে দিনে দুপুরে প্রতারণা করে। সুতরাং আবরার খুনের দায় সরকারও এড়াতে পারে না। দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল ছাড়া আবরারের আত্মা শান্তি পাবে না। শহীদ আবরারের মা বলেছেন, ‘আমাকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করো না। এই লাশ আমি বহন করতে পারবো না। আমি চাই আমার ছেলেকে জীবিত ফিরিয়ে দাও। আমার ন্যায়বিচার দরকার নেই। আমি কার কাছে বিচার চাইবো?
বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা পাওয়ার কোনো অধিকার নেই, ন্যায্য হিস্যার দাবি তোলাটাও যেন ভয়ংকর অপরাধ। সুতরাং আবরার ফাহাদ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর কাছে অপরাধী, কারণ সে আওয়ামী লীগের বন্ধু রাষ্ট্রের বাংলাদেশের প্রতি আচরণের সত্য ইতিহাস তুলে ধরেছিল। এজন্য তাকে জীবন দিতে হলো। এসময়ের শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদ। মৃতুঞ্জয়ী আবরার ফাহাদ দেশের জন্য জীবন দিয়ে মৃত্যুকে জয় করেছে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধের প্রধান প্রেরণা হয়ে থাকবে আবরার ফাহাদ। আবরার ফাহাদ আমাদের প্রাণের পতাকা।
