বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ ও অস্থিতিশীল। দেশে স্বৈরাচারের শাসন চলমান আছে, যেখানে জনগণের কথা উপেক্ষা করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা, গত প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে দেশের শাসনকার্য চালিয়ে আসছে, কিন্তু এর শাসনকালের মধ্যেই দেশে গণতন্ত্রের কবর হয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে নির্বাচনের কথা বলা হলেও, সেগুলো ছিল শুধুই এক ধরনের নাটক। গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ, সুষ্ঠু নির্বাচন, আর জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশ আজ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন। এক এক করে সরকার সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে ফেলেছে এবং জনগণের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
আজকের দিনে বাংলাদেশের জনগণ কোনওভাবেই এই সরকারকে বৈধ মনে করে না। ২০১৪ সালের নির্বাচন, যা দেশের বিরোধী দলের বর্জনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার পর থেকে সরকারকে জনগণের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে হয়েছে। দেশের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা আজ এক ধরনের শৃঙ্খলে বন্দি। বিরোধী দলের নেতারা, মানবাধিকারকর্মীরা, সাংবাদিকরা—সবাই আজ সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
এটি স্পষ্ট যে, অবাধ নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হলে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙে দেওয়া জরুরি। দেশকে একটি অবাধ নির্বাচনী পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে হবে, যেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ব্যবহার করতে পারবে এবং কোনও ভয় ছাড়াই তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতে পারবে।
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্রের পতন ঘটছে, তাই এখন আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করি। এই সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে যদি সংসদ ভেঙে দিয়ে তক্তাবদায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়, তবেই দেশে সুষ্ঠু ও মুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসবে।
বাংলাদেশের জনগণ যেন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতের জন্য সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিতে পারে—এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি। আর এই দাবির সঙ্গে একত্রে আমাদের সকলের হতে হবে, যাতে আমরা আমাদের দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
